বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবির কার্যালয়ে জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী সনদের (আনকাক) দ্বিতীয় ও পঞ্চম অধ্যায়ের বাস্তবায়ন পর্যালোচনার সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি। আনকাকের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ উপস্থাপন করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
দুর্নীতির কারণে মানুষ এখন অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে আছেন বলেন মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল।
গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সুলতানা কামাল বলেন, ‘এই তথ্যগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরুন। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে সরকারের বিরাট দায় দায়িত্ব আছে। সরকার নাগরিক সমাজকে এই প্রক্রিয়ায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আবার টিআইবির নিজস্ব দায়িত্ব হিসেবেও এটা করা হয়।
সুলতানা কামাল বলেন, ‘জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী সনদের দ্বিতীয় ও পঞ্চম অধ্যায়ে অত্যন্ত বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে দেশের অগ্রগতি কতখানি হয়েছে একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ কী আছে সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণার ওপর নির্ভর করে সুপারিশও দেওয়া আছে।’
এ সময় টিআইবির প্রতিবেদন তুলে ধরে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘২০০৭ সালে জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সনদে সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় বাংলাদেশ। আর এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সনদ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের উদ্যোগ, সফলতা চ্যালেঞ্জসমূহ সার্বিক পর্যালোচনা করা। চলতি বছরের ১৩ জুন সরকার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সরকার থেকে প্রমাণিত প্রতিবেদনের ওপর মতামত দিতে বলে। এখানে শুধু টিআইবি অংশগ্রহণ করে মন্তব্য প্রদান করে। তথ্য সংগ্রহে সরকারি দপ্তরসমূহে প্রবেশাধীকার সীমিত ছিল। অনেক ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। আবার অনেক কর্মকর্তা তথ্য দিতে চাননি।’
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিদায়ী চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. পারভীন হাসানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।