শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
টঙ্গির “তা’মিরুল মিল্লাতে” বৃষ্টির প্রার্থনায় নামাজ ইরানে পাল্টা হামলা চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল সিলেটে বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়ায় ১৫ জনের মৃত্যু ইসরায়েলে হামলা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সফলতা পেয়েছি: আইআরজিসির প্রধান উদীয়মান সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল করলেন ‘গাজীপুর রাইটার্স ফোরাম’ ৩০০ পরিবারকে ঈদ উপহার দিলেন ‘স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন, শরীয়তপুর’ এবার স্পন্দনের ঈদ আয়োজনে থাকছে নজরুল সংগীত হ্যাল্পিং হ্যান্ড এর উদ্যোগে দিনব্যাপী রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি উল্টে যাচ্ছে পাশার দান, জিতেও হারছেন ইমরান খান

কী দেখে বলবেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, প্রশ্ন শেখ হাসিনার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে পাল্টা প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে, কী কী ক্ষেত্র দেখে তারা বলবেন যে অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হয়নি? সেটা তাদের বলতে হবে।

শনিবার (ফেব্রুয়ারি ১০) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সেটা বলে না, তারা ওই একইভাবে বলে যাচ্ছে, অবাধ-নিরপেক্ষ হয়নি—হ্যাঁ, নির্বাচন হয়েছে। কিছু দেশীয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বলা হয়।

যারা বলছে বা যে কোনো দেশই বলুক, আমার তাদের কাছে এটাই প্রশ্ন; কীভাবে, কোথায় সমস্যা? সেটা তাদের বলতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, পৃথিবীর বহু বড়, উন্নত দেশেও নির্বাচন হয়েছে সে নির্বাচনও এখন দেখা যাচ্ছে, বিরোধীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

এমনকি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এমন অবস্থা যে, অনেক জায়গায় খুনোখুনি হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অন্তত এটুকু বলতে পারি, আমাদের জনপ্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেকে অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।

যার জন্য আমরা নির্বাচনটা অবাধ-সুষ্ঠুভাবে করতে পেরেছি।

 

শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচন নিয়েও একটা বিরাট চক্রান্ত ছিল। চক্রান্তটা ছিল নির্বাচনই যেন না হয়। বাংলাদেশের মানুষের একটা নির্বাচিত সরকার হলে আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে, এটাই যেন অনেকের সহ্য হয়নি। তাই এমন একটা চক্রান্ত তারা শুরু করেছিল; বিএনপি নির্বাচনে আসবে না, আসে নাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বানচাল করার জন্য তাদের জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসন্ত্রাস। সেই ২০১৩ থেকে শুরু করেছিল, ২০১৪ এর নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, ১৮-তে নির্বাচনে এসেও নিজেদের কারণে তারা নির্বাচনে জিততে পারেনি। কারণ ৩০০ সিটে যদি সাড়ে ৭০০ নোমিনেশন দেয় জিতবে কোত্থেকে!

তিনি বলেন, তারা জানতো জনগণের কল্যাণে কাজ করে আজকে জনগণের আস্থা-বিশ্বাস আওয়ামী লীগ অর্জন করেছে। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগই সরকার গঠন করবে। যে কারণে তারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছিল। সেই সঙ্গে তারা জুগিয়েছিল তাদের কিছু প্রভু। তাদের নির্দেশ মতো আন্দোলন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, এখনো কিছু কিছু লম্ফ-ঝম্ফ করছে, করতে পারে কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দেশের জনগণের সংগঠন, এটা তাদের মনে রাখতে হবে। এটা ভেসে আসেনি বা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জেনারেলের পকেট থেকে এই সংগঠন বের হয়নি। মাটি-মানুষের ভেতর থেকে এই সংগঠন গড়ে উঠেছে।

বিশেষ বর্ধিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভার শুরুতে শোক প্রস্তাব পেশ করেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।

বিশেষ বর্ধিত সভায় সারা দেশ থেকে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকগণ, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্যবৃন্দ, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানগণ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়রগণ এবং সহযোগী সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেইজে

[IT_EPOLL_VOTING id=”2057″][/IT_EPOLL_VOTING]