বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৬:১৯ অপরাহ্ন

চার মন্ত্রী ও নিক্সন-সাকিবসহ ২৪ জনকে শোকজ

জাতীয় নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক পড়েছে। আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে পতাকাবাহী গাড়িসহ শোডাউন, মিছিল, মোটর শোভাযাত্রাসহ মনোনয়নপত্র জমা দেন অনেক প্রার্থী। এসব প্রার্থীর অনেককে শোকজ (কারণ দর্শানো) করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগেও সংবর্ধনা, সাংবাদিক লাঞ্ছনা ও হুমকিমূলক বক্তব্যের জন্য শোকজ করা হয়েছে কয়েকজনকে। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরকারের চার মন্ত্রীসহ ২৪ জনকে এসব অভিযোগে শোকজ করা হয়।

ইসি সূত্র জানায়, দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন থেকেই প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। দলের মনোনয়ন পেয়ে অনেক প্রার্থীই নিজ নিজ সংসদীয় আসনে বিশাল মিটিং, মিছিল, মোটর শোভাযাত্রাসহ নানাভাবে শোডাউন করছেন। অনেক প্রার্থী রাস্তাঘাট বন্ধ করে গণসংবর্ধনা নেন। সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের এ বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছিল। যদিও নির্বাচন কমিশন থেকে বারবার বলা হচ্ছিল, এসব এখন ইসির দেখার দায়িত্ব নয়। কমিশনারদের মতে, মনোনয়নপত্র জমাদানের পর থেকেই তা দেখবে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এমন মনোভাবের পর আচরণবিধি লঙ্ঘনে আরও বেপরোয়া হয়ে পড়েন প্রার্থীরা।

চট্টগ্রাম-১২ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী পুলিশ প্রটোকলে জাতীয় পতাকাবাহী গাড়ি নিয়ে দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। আচরণবিধি ভঙ্গ করে মনোনয়ন জমা দিতে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সামশুল হক চৌধুরী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, আমি শুধু আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রটোকল পাব না, পতাকা পাব না। সুতরাং পতাকা ও প্রটোকল বন্ধ হবে আমার এলাকায় ঢুকলে।’

মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান, লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর-সদর আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, পটুয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিব্বুর রহমান, রংপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তুষার কান্তি মণ্ডল, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, নাটোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুল ও ময়মনসিংহ-১১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজিম উদ্দীন আহম্মেদ ধনু । এ ছাড়া নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনকেও উসকানিমূলক বক্তব্যের জন্য শোকজ করা হয়।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা এর মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। সে হিসেবে ১৫ ডিসেম্বরের আগে কেউই নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না।

বিজ্ঞাপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেইজে

[IT_EPOLL_VOTING id=”2057″][/IT_EPOLL_VOTING]