রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:০২ অপরাহ্ন

খালেদা জিয়াকে কারাগারে গিয়ে আদালতে আবেদন করতে হবে

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশ যেতে হলে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে গিয়ে আবার আদালতে আবেদন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদনে মতামত জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১–এর ১ উপধারার ক্ষমতাবলে যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে, সেটা ক্লোজড। অর্থাৎ এই আবেদনের প্রেক্ষাপটে নতুন করে কোনো সিদ্ধান্তের সুযোগ নেই। তাকে কারাগারে গিয়ে এরপর আদালতে আবেদন করতে হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ভাইয়ের শেষ দরখাস্তটা হচ্ছে তাকে পারমানেন্টলি মুক্তি দেয়ার জন্য এবং তাকে বিদেশ পাঠানোর জন্য অনুমতি দেয়া। সেটা আইনি মতামতের জন্য আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। আমরা আইনি মতামত দিয়ে কিছুক্ষণ আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথম যে দরখাস্তটা ছিল যেটা ২০২০ সালের মার্চ মাসে নিষ্পত্তি হয়, সেই দরখাস্তে ছিল খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসা যেন হয় সেই ব্যবস্থা করা। তখন সেই দরখাস্তের ওপর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সেই সিদ্ধান্ত হচ্ছে, দুটো শর্তসাপেক্ষে তার যে দণ্ডাদেশ, সেটা ৬ মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। এটা ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ উপধারা ১ এর ক্ষমতাবলে। সেখানে দুটো শর্ত দেয়া হয়েছিল। সেই দুটো শর্ত হচ্ছে প্রথম তিনি বাসায় থেকে তার চিকিৎসা নেবেন। দ্বিতীয় তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। সেই শর্তগুলো মেনে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হন এবং বাসায় ফিরে যান। সেইভাবেই সেই দরখাস্তটা নিষ্পত্তি করা হয়। নিষ্পত্তির পরে দরখাস্তের মধ্যে শুধু এইটুকু জিনিস উন্মুক্ত ছিল, সেটা হচ্ছে তাকে দেয়া হয়েছিল ৬ মাসের জন্য এবং প্রত্যেক ৬ মাসে বৃদ্ধি করা যাবে কি না, সেই ব্যাপার ছিল এবং প্রত্যেক ৬ মাসে সেটা বৃদ্ধি করে ৮ বার বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার কোনো দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়, সেই নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো অবকাশ আইনে থাকে না। আমরা ঠিক সেই ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১, উপধারা ২, ৩, ৪, ৫ এবং সর্বশেষ উপধারা ৬ আমরা ব্যাখ্যা করে আমাদের মতামত পাঠিয়ে দিয়েছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেই মতামত হচ্ছে ৪০১ ধারার ক্ষমতা বলে যেই দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে সেটা একটা পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড ট্রানজাকশন, এটা আর খোলার কোনো উপায় নাই।

পরিবার বিদেশে পাঠাতে চাইলে কি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আদেশবলে ৪০১ ধারায় ৬ মাস তাকে দুটি শর্তযুক্তভাবে যে মুক্তি দেয়া হয়েছিল সাজা স্থগিত রেখে, সেটা বাতিল করে পুনরায় বিবেচনা করার স্কোপ থাকলে সেটা করা হবে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তাকে আদালতে যেতে হবে—এমন প্রসঙ্গে উঠলে আইনমন্ত্রী বলেন, আদালতে যাওয়া তো সবসময়ই তাদের কাছে আছে। কিন্তু ব্যাপারটা আরেকটু পরিষ্কার করি। আমাদের এই উপমহাদেশে ৪০১ ধারার ক্ষমতা যখন সরকার প্রয়োগ করে তখন সেটাকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায় না বলে ডিসিশন আছে। প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন সেটা হচ্ছে এইরকম… এখন যে আদেশ আছে সেটা যদি বাতিল করা হয়, বাতিল করে তাকে যদি আবার কারাগারে নেয়া হয় তাহলে তিনি আদালতে যেতে পারেন। এই অবস্থায় তিনি আদালতে যেতে পারেন সেই সুযোগ নাই। বাতিল করাটা অমানবিক হবে, বাতিল করবো না।

বিজ্ঞাপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেইজে

[IT_EPOLL_VOTING id=”2057″][/IT_EPOLL_VOTING]