সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন

স্কুলের সামনে থেকে ছাত্রীকে অপহরণচেষ্টা, তিনজনকে গণপিটুনি

ফরিদপুর সদরের কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিতে আসা মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি : সংগৃহীত।
ফরিদপুর সদরের কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিতে আসা মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি : সংগৃহীত।

ফরিদপুর শহরের কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মাইক্রোবাসে করে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী এসে চালকসহ তিনজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে আটককৃতদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এর মধ্যে মাইক্রোবাসেও আগুন দেওয়া হয়।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুল গফফার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ফরিদপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পূর্ব পাশে কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকাল পৌনে ১০টার দিকে চার ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসছিল। পথিমধ্যে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে কয়েকজন এসে তাদের গতিরোধ করেন। পরে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শিক্ষার্থী চিৎকার দিলে এলাকাবাসীসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে মাইক্রোবাসের চালকসহ তিনজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়।

তবে এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফরিদপুর সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের ধুলদী এলাকার বিধান পোদ্দার (২৮) পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে আটক দুজনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মাইক্রোবাসে আগুন দেওয়া নিয়ে ফরিদপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুদ্দুসুর রহমান বলেন, ‘এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা মাইক্রোবাসের চালকসহ তিনজনকে পিটুনি দেওয়ার সময় কে বা কারা মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফরিদপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে আগুন নেভায়।’

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুল গফফার বলেন, ‘ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতেন বিধান পোদ্দার। তবে এ ব্যাপারে ওই কিশোরী তার অভিভাবক কিংবা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কিছু জানায়নি। আজ সুযোগ পেয়ে ওই ব্যক্তি কিশোরীকে অপহরণের চেষ্টা করেন।’

এ ঘটনায় দুজনকে আটক করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আবদুল গফফার।

আটক আসামিরা হলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার ইশান গোপালপুর ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে মামুন (৫০) ও শহরের গোয়ালচামট এলাকার বাদশা মোল্লার ছেলে আলমগীর(৫২)। এ ঘটনার পর স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

পুলিশ সুপার মো. শাহাজাহান জানিয়েছেন, ‘স্থানীয় জনতা অপহরণের চেষ্টাকালে দুই অপহরণকারীকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। অপর মূল আসামিকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।’

বিজ্ঞাপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেইজে

[IT_EPOLL_VOTING id=”2057″][/IT_EPOLL_VOTING]