সৈয়দা রত্না: আমার পরিবার কলাবাগানের এই এলাকায় বাস শুরু করে ১৯৭১ সালের দিকে। এই পাড়ায়ই আমাদের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। তেঁতুলতলা মাঠ আগে আরও বড় ছিল। এখন ছোট হয়ে গেছে। আমার সন্তানেরাও এই মাঠে খেলে বড় হয়েছে। আমাদের ওয়ার্ডে প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস করেন। তাঁদের সবার জন্য একমাত্র উন্মুক্ত স্থান ও খেলার মাঠ এই তেঁতুলতলা।
২০২০ সালের শুরুর দিকে হঠাৎ একদিন দেখলাম মাঠের দুই পাশের দেয়ালে পোস্টার সাঁটানো। তাতে লেখা, সেখানে নাকি থানা ভবন নির্মিত হবে। আশপাশে এত ভবন থাকতে এলাকার এই একমাত্র মাঠে কেন থানা ভবন করতে হবে? আমি শুধু একা নই, এলাকার কেউ এটা মেনে নিতে পারেননি। আমিসহ অনেকে সঙ্গে সঙ্গে ওই ঘটনার প্রতিবাদে নামি। আমার স্বামী ২০১৩ সালে মারা যান। তাঁর জানাজা হয়েছিল এই মাঠে। এলাকায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের বেশির ভাগের জানাজা হয়েছে মাঠটিতে।