কোভিড পরবর্তী সময় পার করে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে অর্থনীতি। এর পরপরই গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। এর ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে টালমাটাল অবস্থা শুরু হয়। হু হু করে ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি তেল ও পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। যার আচ লাগে দেশের অর্থনীতিতে।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি খরচ বেড়ে দাঁড়ায় আট হাজার ৯১৬ কোটি ডলার। শুরু হয় ডলার সংকট। আমদানিতে কড়াকড়ি করেও সংকট দূর করা যায়নি। পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। এতে ব্যাংকগুলোর হাতে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করে বাজারে। টান পড়ে রিজার্ভে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি মাস সেপ্টেম্বরের প্রথম ২০ দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৬২ কোটি মার্কিন ডলার কমে, পরের সাত দিনে রিজার্ভ কমে আরও ৩০ কোটি ডলার। এর আগে গত ৩১ আগস্ট দেশের রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩০৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সেটি কমে ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলারের আসে।
ডলার বিক্রির ফলে রিজার্ভ কমে এখন ২১ বিলিয়নের ঘরে। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক মঙ্গলবারের (২৬ সেপ্টেম্বর) তথ্য দিয়ে রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করেছে। এতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ এখন ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলার।
যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ ২ হাজার ৭০৬ কোটি ডলার। এর আগে ২০২১ সালে রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উঠেছিল।