সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে পিপলস ব্যাংক অব চায়না ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের দরপতন ঠেকাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। একটি পদ্ধতি হচ্ছে দৈনিক মিডপয়েন্ট ফিক্সিং, অর্থাৎ মধ্যবর্তী দর আরও উঁচুতে বেঁধে দেওয়া, যার মাধ্যমে পিবিওসি কার্যত ব্যাংকগুলোর পক্ষে ইউয়ান বিক্রি করে ডলার কেনার প্রক্রিয়া আরও ব্যয়বহুল করেছে।”
তবে রয়টার্স এ বিষয়ে পিবিওসির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করেন
এ ছাড়া চীনের বাজারে ডলারের সরবরাহ বৃদ্ধিতে ব্যাংকগুলোর বিদেশি মুদ্রা ধারণের হার কমানো হয়েছে। ইউয়ানের দরপতনের হার কমানোর ক্ষেত্রে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
রয়টার্সের সূত্রগুলো গত সপ্তাহে জানায়, ইউয়ানের দরপতনের রাশ টানতে চীনের মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো কিছু ব্যাংককে মার্কিন ডলার কেনা স্থগিত করতে বা কমাতে অনুরোধ করেছে।
অন্যদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করে ইউয়ানের দরপতন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। এ ছাড়া অফশোর মুদ্রাবাজার থেকে তারা ইউয়ান কিনে এই মুদ্রার শর্টিং ঠেকানোর চেষ্টা করছে, অর্থাৎ ইউয়ানের দরপতন হবে—এ আশঙ্কায় মুদ্রাটি বাজারে বিক্রি করে দেওয়া আরও কঠিন ও ব্যয়বহুল করতে তারা এ উদ্যোগ নিয়েছে।
গতকাল সোমবার চীনের বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, ইউয়ানের দ্রুত দরপতন ঠেকাতে তারা ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া বিদেশি মুদ্রার বাজারে ফাটকাবাজি ঠেকাতে এবং ইউয়ানের দর যেন বাজারের গতি-প্রকৃতি দ্বারা নির্ধারিত হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।