সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন

ফিলিস্তিনে ন্যায়বিচার,শান্তি ও আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে চীন

বৈঠকের এক পর্যায়ে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণ ঐতিহাসিকভাবে অবিচারের শিকার হচ্ছে। ইসরায়েলিদের যেমন রাষ্ট্রের অধিকার আছে, তেমনি ফিলিস্তিনিদেরও আছে।

ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার সকালে ঢাকায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট মোকাবিলায় চীন যে উদ্যোগগুলো নিচ্ছে সেগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে।

বিশ্বে ইহুদিরা এখন আর গৃহহীন নয়। কিন্তু ফিলিস্তিনি জাতির লোকজন কবে তাদের ঘরে ফিরবে?চীনের রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ফিলিস্তিনের প্রশ্নে চীন শান্তি, ন্যায়বিচার, আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে। চীন মানুষের বিবেকের পাশে আছে।

ঢাকায় চীন দূতাবাসের পক্ষ থেকে এই বৈঠকের বিষয়ে জানানো হয়েছে।

এতে ফিলিস্তিন প্রশ্নে চীন ও ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতরা মতবিনিময় করেন।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো, সংঘাত আরো ছড়িয়ে পড়া রোধ করা এবং পরিস্থিতির আরো অবনতি ঠেকানোই চীনের শীর্ষ অগ্রাধিকার। এখন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলা, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্নক প্রচেষ্টা চালানো, যত দ্রুত সম্ভব একটি উদ্ধার কার্যক্রম ও মানবিক সহায়তার পথ খুলে দেওয়া এবং একটি গুরুতর মানবিক বিপর্যয় রোধ করা অপরিহার্য।

সংঘাত কমানো এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা আর যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য চীন সংশ্লিষ্ট সব দেশকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

 রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে।বৈঠকে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও হামলার বিষয়ে চীনের নিন্দা জানানোর কথাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। বলেন, নির্বিচারে বলপ্রয়োগ অগ্রহণযোগ্য। ফিলিস্তিনি বা ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের হামলার লক্ষ্য বানানো উচিত নয়। জাতিসংঘের কর্মী ও মানবিক সহায়তা কর্মীদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে চীন যোগাযোগ করছে। মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে চীন সরকারের বিশেষ দূত শিগগিরই ওই অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে যাবেন। ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। ফিলিস্তিনিদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা ও জনগণের ওপর ঐতিহাসিক অবিচার প্রতিকারের ব্যর্থতাই এর মূল কারণ।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমান পৃথিবীতে অন্যায়ের কমতি নেই। কিন্তু ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচার অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই দুর্ভোগ প্রজন্মের পর প্রজন্ম অব্যাহত থাকা উচিত নয়।

‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন,  এভাবেই ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল, আরব ও ইহুদিরা শান্তি ও সম্প্রীতিতে বসবাস করতে পারে। ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলেই মধ্যপ্রাচ্য সত্যিকার অর্থে শান্তি উপভোগ করতে পারবে এবং ইসরায়েল দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা ভোগ করবে। দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান এগিয়ে নেওয়ার সঠিক উপায় হল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবারও শান্তি আলোচনা শুরু করা। শান্তির জন্য সবাইকেই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেইজে

[IT_EPOLL_VOTING id=”2057″][/IT_EPOLL_VOTING]