সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন

কমিটি ঘোষণার ১ সপ্তাহের মধ্যে আ.লীগের ৩৩ সদস্যের পদত্যাগ

শেরপুরের নকলা উপজেলার ৮নং চর অষ্টধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নবগঠিত ৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে তিন সহ-সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্য পদত্যাগ করেছেন।

ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীদের কমিটিতে কাঙ্ক্ষিত পদ না দেওয়ায়, স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সদস্যদের স্থান দেওয়াসহ কমিটি গঠনে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে ওই নবগঠিত কমিটির নেতারা পদত্যাগ করেছেন।

রোববার সাংবাদিকদের কাছে ৩৩ জনের স্বাক্ষরিত পদত্যাগপত্রের কপি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাবরে স্বাক্ষরিত পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছে।

এ বছরের ১৮ মার্চ ৮নং চর অষ্টধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করার পর একটি গ্রুপ পদবঞ্চিত হয়ে সভাস্থলে হট্টগোল করে। এ সময় উভয়পক্ষে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। এ পরিস্থিতিতে পরবর্তীতে আলোচনা করে কমিটি ঘোষণা করার কথা জানিয়ে সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন নেতারা।

সম্মেলন অনুষ্ঠানের ৬ মাস পর গত ৩ সেপ্টেম্বর এমরান হোসেনকে সভাপতি ও হিরাবুল বাদশাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদন দেন নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ কমিটি ঘোষণা করার পর স্থানীয় একাংশের নেতাকর্মীদের মাঝে আবারো ক্ষোভ দেখা দেয়। ওই কমিটি অনুমোদনের প্রতিবাদে স্থানীয় নারায়ণখোলা বাজারে শনিবার বিকালে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

এতে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ঘোষিত কমিটির সভাপতি স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সদস্য এবং তার পিতা পিচ কমিটির সদস্য ছিলেন।

এছাড়াও অভিযোগ করা হয় কমিটিতে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয় নাই। অর্থ লেনদেন ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিএনপির লোককেও কমিটিতে স্থান করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ বলেন, নবগঠিত ৮নং চর অষ্টধর ইউনিয়ন কমিটি গঠন নিয়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। দলের কতিপয় নেতাকর্মী তাদের পছন্দের পদ না পেয়ে অহেতুক নানা অভিযোগ করছেন।

নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুন বলেন, যথেষ্ট যাচাই বাছাই করে যোগ্যদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। কমিটি গঠনে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে এসব মিথ্যা অভিযোগ করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে।

নবগঠিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তার সহোদর বড় ভাই ১৩ বছর ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন তো কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।

বিজ্ঞাপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেইজে

[IT_EPOLL_VOTING id=”2057″][/IT_EPOLL_VOTING]