বন্দিদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছে হামাস। তারা খুবই আন্তরিক ছিল। বন্দিদের খাবার দিয়েছে, ওষুধ দিয়েছে ও যত্ন নিয়েছে। থাকার জায়গাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেছে। মুক্তি পেয়ে কথাগুলো জানিয়েছেন ৮৫ বছর বয়সী ইয়াশেভ লিফশিৎজ।
এদিকে রাফা ক্রসিং দিয়ে গাজায় আরও ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। সঙ্গে সঙ্গে গাজার দক্ষিণ ভাগে বিমান হামলা জোরদার করেছে তারা।
ইয়াশেভ লিফশিৎজ দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন। হামাস দুই ধাপে বন্দি দুই শতাধিক ইসরায়েলির মধ্যে ৪ জনকে মুক্তি দিয়েছে। জিন্মি দশা থেকে মুক্তির পর তাদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
এদিকে রাফা ক্রসিং দিয়ে গাজায় আরও ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। সঙ্গে সঙ্গে গাজার দক্ষিণ ভাগে বিমান হামলা জোরদার করেছে তারা।
গাজা থেকে বিবিসির সংবাদদাতা রুশদি আবু আলুফ জানান, এখানে দফায় দফায় বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। শেষ যে হামলাটি হলো সেটি একটি হাসপাতালের কাছে। ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তার জন্য দক্ষিণে আসতে আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা সেখানেই বিমান হামলা চালাচ্ছে।
গাজার উত্তরাংশে ইসরায়েল হামলা চালাবে এমন ঘোষণার পর যারা নিরাপদে থাকার আশায় দক্ষিণে এসেছিল তারা আবার উত্তরে পালাচ্ছে।
উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কমিশনার নাটালি বুকলি বলেন, গাজার কোথাও আসলে নিরাপদ না। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, যারা দক্ষিণে এসেছিলেন তারা আবার উত্তরে ফিরে যাচ্ছেন। কারণ, তাদের কোথাও যাওয়ার নেই। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও ঠাঁই হচ্ছে না।
সোমবার রাতে গাজার চারশ জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে হতাহত হয়েছে বহু ফিলিস্তিনি নাগরিক। গাজার বাসিন্দা ডিমা আল্লামদানি বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে যখন খান ইউনিসে আসি তখন আমরা ১৭ জন ছিলাম। ইহুদিরা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আক্রমণ করেছে। ১৩ জন সদস্য মারা গেছে। এখন আমরা আছি ৪ জন। আমি জানি না কীভাবে আমরা গাজা শহরে ফিরে যাব।