সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন

ইসলামী ব্যাংকিং আদর্শ থেকে দুর্দশাগ্রস্ত

শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের পথ রুদ্ধ করে দিতে চাইছে। তবে আমি মনে করি, বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণ ঘটলে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো আরো শক্তিশালী হবে। দেশের আরো অনেক সাধারণ ধারার ব্যাংক ইসলামী ধারায় রূপান্তর ঘটাতে বাধ্য হবে।”

দেশের ইসলামী ব্যাংকিং পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান পরিস্থিতির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর আলম বলেন, ‘নেতিবাচক প্রচারের কারণে দেশে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর ওপর কিছুটা কালো মেঘ জমা হয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সেটি কেটে যাচ্ছে। প্রচলিত ধারার ব্যাংকের চেয়ে ইসলামী ধারার ব্যাংকিং অনেক বেশি নিরাপদ ও জনকল্যাণমুখী। বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশ ধর্মপ্রাণ মুসলিম। আমি মনে করি, ইসলামী ধারার ব্যাংকিং এ দেশে আরো বেশি বিস্তৃত ও জনপ্রিয় হবে।”

এতদিন দেশের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো আমানত সংকটে পড়লে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ব্যাংকটির করা বিনিয়োগের একটি অংশ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। একই ধারার আরো কয়েকটি ব্যাংকের বিনিয়োগ প্রশ্নের মুখে পড়ায় গোটা খাতটি ঘিরেই আস্থার ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এখন ধারদাতা থেকে গ্রহীতা ব্যাংকে রূপান্তর হয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ২০২২ সালের জুন শেষে ইসলামী ব্যাংকের মোট আমানত ছিল ১ লাখ ৪৬ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকটির আমানত স্থিতি ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংকটির আমানত বেড়েছে মাত্র ৭৪৬ কোটি টাকা।”

ইসলামী ব্যাংক কবে নাগাদ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে—এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন; ‘ইসলামী ব্যাংক এরই মধ্যে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কিছু ছোটখাটো ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছিল। এরই মধ্যে আমরা সেগুলো সংশোধন করে নিয়েছি। বাংলাদেশে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর সাফল্য ও সংকট আমাদের ব্যাংকের সঙ্গে জুড়ে গেছে। আমরা পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়ালে এ খাতের অন্য ব্যাংকগুলোর সমস্যা কেটে যাবে।”

বিজ্ঞাপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেইজে

[IT_EPOLL_VOTING id=”2057″][/IT_EPOLL_VOTING]