সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ‘আপত্তি’ আদিলুরের ২ বছরের কারাদণ্ড

মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র এবং পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারার মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত৷

এ মামলায় অধিকারের পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনকেও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় আদিলুর বলেন, “আমি ন্যায় বিচার পাইনি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতে যাবো।

এ রায়ের আগে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সেই বিষয়ে
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ঢালাও কোনো মন্তব্য করার সুযোগ নেই৷ পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো৷” কিন্তু আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী নূর খান বলেছেন, “মানবাধিকার পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হয়েছে সেটা বলার কোনো সুযোগ নেই৷ গুম বন্ধ হয়নি৷ বিরুদ্ধ মতকে দমন করা হচ্ছে।

“সরকার ‘অধিকার’-এর নিবন্ধন আগেই বাতিল করেছে। গত বছরের জুন মাসে অধিকার-এর এনজিও ব্যুরোর নিবন্ধন বাতিল করা হয়। আর বৃহস্পতিবার ২০১৩ সালের ৪ মে শাপলা চত্তরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে অভিযানে নিহতের সংখ্যা প্রকাশ নিয়ে দায়ের করা মামলায় আদিলুর ও এলানের দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত।

রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুইজনকেই ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে হাজির ছিলেন৷ রায়ের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আদিলুর ও এলানের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ডিবির তখনকার এসআই আশরাফুল ইসলাম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আদিলুর ও এলানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আদিলুর ও এলান শাপলা চত্বরে ৬১ জনের মৃত্যুর বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নের অপচেষ্টা চালান, যা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে চরমভাবে ক্ষুন্ন করে।

বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পর কারাগারে নেয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় আদিলুর বলেন, “আমি ন্যায় বিচার পাইনি৷ এ রায়ের বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতে যাবো।

তার আইনজীবী মোহাম্মদ রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, “এই আদালত থেকে ন্যায় বিচার পাননি আদিলুর ও এলান৷ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে৷” অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আাইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেছেন, “আসামিদের সাজা বাড়ানোর জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে। ওই দুইজনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৫৭ ধারায় দণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেইজে

[IT_EPOLL_VOTING id=”2057″][/IT_EPOLL_VOTING]