শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, জনজীবন। প্রাণিকুল হয়ে পড়েছে নাকাল। যেন জবুথবু অবস্থা সবার। আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা শুক্রবারের (২৬ জানুয়ারি) চেয়ে একটু বেড়েছে। ওই দিন সকাল ৯টায় দিনাজপুরে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
আবহাওয়া অফিস বলছে, দিনাজপুর, রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁওয়ের ওপর দিয়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ। তাদের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে। এদিকে শীতের তীব্রতায় বাড়ছে মানুষের রোগবালাই। কনকনে বাতাসে চরম বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
দিনাজপুরে সন্ধ্যার পর থেকে হিমেল বাতাসের তীব্রতা বাড়ে। আর তার সঙ্গে যোগ দেয় ঘন কুয়াশা। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। দিনে যতটুকু সূর্যের দেখা মেলে তাতেও কড়া তাপ নেই। এতে শীতের তীব্রতা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।
নিম্নমুখী এই তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান। আগামীকালও এই তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে দিনাজপুরের সদর হাসপাতাল এবং এম আব্দুল রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শীতজনিত রোগের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তীব্র শীতে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডাজনিত শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। তাদের গরম পরিবেশে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা