আমির হোসেন আমু জানান, আমরা লক্ষ্য করেছি, জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে যে তৎপরতা, এটা আমাদের দেশের মানুষের কাম্য নয়। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। এ ধারা অব্যাহত থাকা দরকার। আর এজন্য সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে আমাদের জোটের সমর্থন রয়েছে। আমরা চাই, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হোক। ১৪ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে।
আগামী ৩০ অক্টোবর ঢাকায় জনসভা করবে ১৪ দলীয় জোট। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর বাসায় এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে গণহত্যা চলছে। বিশেষ করে, নারী শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। আমরা এই গণহত্যার নিন্দা জানাই। অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধের জন্য জাতিসংঘের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি এই ক্ষতি পুষিয়ে তুলতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের প্রতি আমাদের আবেদন রইলো।
জোটের সমন্বয়ক বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যেকোনো অপতৎপরতা প্রতিহত করতে প্রস্তুত ১৪ দল। নির্বাচনসহ যাই হোক, সংবিধানের মধ্যে থেকে হতে হবে। সংবিধান বিরোধী যেকোনো তৎপরতা আমরা প্রতিহত করবো।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা।
বৈঠকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বাশার মাইজভাণ্ডারী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ ১৪ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।