সর্বকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সমাবেশের ঘোষণা দেন তিনি।
সমাবেশ কত লোক হতে পারে জানতে চাইলে মোহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, সংখ্যা তো আর বলা যাবে না। তবে আশা করি সর্বকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ হবে। এই সমাবেশ কোনো দলের নয়, এটি সব জনগণের।
কী ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলনের এ নেতা বলেন, পরিস্থিতির আলোকে সেটা আমরা আগামীকাল মহাসমাবেশে জানিয়ে দেব।
পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছেন তাদের কাজ হলো জনগণের নিরাপত্তা প্রদান করা। তাই আমি রাষ্ট্রপক্ষের সবাইকে বলব জনগণের বন্ধু কোনো দলের নয়, জনগণকে ভালোবাসেন কোনো দলকে নয়।
মহাসমাবেশ ঘিরে কোনো শঙ্কা দেখছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়জুল করিম বলেন, কিছু কিছু জায়গায় আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হুমকিও দিচ্ছে। যতক্ষণ সমাবেশ না হচ্ছে ততক্ষণ আমরা শঙ্কামুক্ত নই। কারণ, সরকার কখন কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটা তো জানা যায় না।
সমাবেশ বাস্তবায়নের জন্য কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র মুফতি বলেন, সমাবেশ বাস্তবায়নের জন্য আমরা ইতোমধ্যে জেলায়, থানায় সফর করেছি, পোস্টার, লিফলেট, দাওয়াতী ব্যবস্থা, স্পর্শকাতর এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া, মাইকিং, অনলাইন ভিত্তিক প্রচার, ব্যক্তির কাছে আমরা দাওয়াতী কার্যক্রম করেছি। অর্থাৎ সমাবেশ বাস্তবায়নের জন্য আগে যা যা করা দরকার আমরা সবই গ্রহণ করেছি।
সমাবেশ কখন শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ টার দিকে শুরু হবে, তবে মনে হয় ফজরের নামাজের পরেই সবাই চলে আসবে।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে রেজাউল করিম বলেন, আমরা তো বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল চাই, তার সঙ্গে কিসের সংলাপ। এই নির্বাচন কমিশন তো মানুষের মৃত্যু কামনা করে। যারা মানুষের মৃত্যু কামনা করে তাদের সঙ্গে কিসের সংলাপ। আমরা বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করার জন্যই এই সমাবেশের আয়োজন করেছি।
নির্বাচন কমিশন আপনাদের সংলাপের জন্য ডাকলে যাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে চরমোনাই পীর বলেন, ইসলামী আন্দোলন এই কমিশনের সঙ্গে কোনো সংলাপে যাবে না।
বিএনপি তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে আর আপনারা বলছেন জাতীয় সরকারের কথা, এই জাতীয় সরকারের রূপরেখা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে জাতীয় সরকার হবে। তারাই নির্ধারণ করবে সরকারপ্রধান কে হবেন।
বেশ কয়েকদিন ধরেই বিরোধীদলগুলো অবরোধ হরতাল পালন করছে সেখানে আপনাদের কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ, নির্দলীয় ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা যুগপৎ আন্দোলনে আমরা যোগদান করিনি। আমাদের দাবির ওপরে সবার ঐক্যমত আছে কিন্তু কর্মসূচিতে আমরা সবাই ঐক্যমত পোষণ করিনাই। তাই অন্যদলের সঙ্গে আঁতাত করার প্রশ্ন উঠতে পারেন। ভবিষ্যৎ একসঙ্গে কর্মসূচি হবে কি হবে না সেটা এখন বলা যাবেনা, সময় বলে দেবে।