সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:৪৫ অপরাহ্ন

প্রধানমন্ত্রী সংসদ অধিবেশনে ঢুকতেই সদস্যদের হাততালি

জি-২০ সম্মেলনের কারণে এক দিনের বিরতির পর আজ সোমবার সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর অধিবেশন কক্ষে প্রবেশকালে টেবিল চাপড়িয়ে অভিনন্দন জানান সংসদ সদস্যরা।”

আজ পৌনে ৫টায় জাতীয় সংসদে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। মাগরিবের বিরতির পরে বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী প্রস্তাবিত বাংলাদেশ বিমান বিল-২০২৩-এর ওপর আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।”

ফখরুল ইমামের বক্তব্যের মাঝখানে ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে সংসদ অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা এবং বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ কয়েকজন সদস্য টেবিল চাপড়িয়ে অভিনন্দন জানান। এর মধ্যে শুধু রাঙ্গাকে দাঁড়িয়ে টেবিল চাপড়াতে দেখা গেছে। এটি দেখে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে হাসতে দেখা যায়। তবে বক্তব্য চলাকালে হঠাৎ টেবিল চাপড়ানোতে হতচকিত দেখা যায় ফখরুল ইমামকে।”

এদিকে গত বৃহস্পতিবারে সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর গত শুক্রবার জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের দিল্লিতে যান। সফর শেষে গতকাল রোববার দেশে ফেরেন তিনি। তবে অধিবেশনে যোগ দেননি তিনি। এরপর আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পরে অধিবেশনে আসেন প্রধানমন্ত্রী।”

ফখরুল ইমাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সংসদ সদস্যরা হাততালিটা দিল, এটাতে মনে হয় অভিনন্দন দিল নাকি! আমরা জানতে চাই আসলে ঘটনাটা কী হলো? তিনি (প্রধানমন্ত্রী) জি-২০ সম্মেলনের প্রত্যেকটা জায়গায় ফায়দা তুলেছেন। এটা ওনার বুদ্ধিমত্তার জন্য পেরেছেন। এ সময় রাঙ্গার দিকে হাত দেখিয়ে ফখরুল ইমাম বলেন, জি-২০ সম্মেলনের সফলতার জন্য সংসদ সদস্য হাততালি দিয়েছেন। তখন মসিউর রহমান রাঙ্গাকে মাইক ছাড়া বলতে শোনা যায়, ‘চিফ হুইপ বলতে… ।” তখন ফখরুল ইমাম বলেন, ‘চিফ হুইপ বিরোধী দলের। আমরা শুনতে চাই সাফল্যগুলো, কোনো সময় তিনি যদি বলেন। তাতে আমরা আশ্বস্ত হই।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানাতে দেখা যায়।

দলটির আরেক সংসদ সদস্য রুস্তুম আলী ফরাজী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেহেতু জি-২০ সম্মেলন থেকে ফিরে এসেছেন, এতে বাংলাদেশের মানুষ আশাবাদী, আমরাও তাঁকে ধন্যবাদ জানাই, অভিনন্দন জানাই। তাঁর সুযোগ্য কন্যাকে (সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) নিয়ে বড় অর্জন, এই সামিটের সদস্য না হয়েও সমস্ত সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছেন, বাংলাদেশের সম্মানের পক্ষে কথা বলেছেন, ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরার কথা বলেছেন। বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার পক্ষে কথা বলেছেন।”

বিজ্ঞাপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেইজে

[IT_EPOLL_VOTING id=”2057″][/IT_EPOLL_VOTING]