টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই সাব্বির হোসেন জানান, অভিযুক্ত শাওনের সঙ্গে ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সোমবার সকালে ওই নারীকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় শাওন। পরে শাওন ও তার সহযোগীরা সংঘবদ্ধভাবে তাকে ধর্ষণ করে।
টঙ্গীতে বাসা থেকে এক নারীকে ডেকে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে থেকে মোবাইলে ডেকে ওই এলাকার মৃত গাজী আলাউদ্দিনের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে ওই নারীর চোখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন আসামিরা। এ সময় ঘটনাটির ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করেন শাওন। পরে ওই নারীকে ছেড়ে দেন আসামিরা।’
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- টঙ্গীর মিরাশপাড়া এলাকার জাবেদ মিয়ার ছেলে শাওন, নবীন হোসেনের ছেলে নাদিম হোসেন ও গাজী সালাউদ্দিনের ছেলে গাজী সাকিবুজ্জামান সিয়াম। তাদের বয়স ২১ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
নির্যাতিতা নারী জানান, অভিযুক্ত শাওন তার পূর্বপরিচিত। কয়েক মাস আগে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে মিরাশপাড়া এলাকার একটা ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। সোমবার সকালে ফোন করে শাওন তার সঙ্গে দেখা করতে চান। শাওনের কথামতো দেখা করতে গেলে তিনি তাকে একটি ঘরে নিয়ে যান। সেখানে ওড়না দিয়ে চোখ বেঁধে শাওনসহ তিনজন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় শাওন মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। কাউকে ঘটনা জানালে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় সে।
উপপরিদর্শক আরও বলেন, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ওই নারী বাসায় ফিরে জাতীয় জরুরি পরিষেবা-৯৯৯ -এ কল করে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও ঘটনাটির ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছেন তাঁরা।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল ইসলাম ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী ওই নারীকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।