সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
গাজীপুরে ট্রেনের পাওয়ার কারে আগুন যানজট নিরসনে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের মতবিনিময় সভা সুরাইয়া কবীর সাথীর “আমার যখন ফুরাবে দিন” এখন বাজারে সোনাগাজী উপজেলায় ৪ ইউনিয়নে তাঁতী দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা টঙ্গীতে ❝আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে করণীয় কী❞ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। জিয়া পরিবারকে ভালোবাসার অপরাধে ২১ মামলার আসামি হয়েছে আব্দুল্লাহ আল আমিন। আইইউটিতে টানা তৃতীয় সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে, ওআইসির প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাসে তারুণ্যের স্বদেশ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ সেবা কনস্ট্রাকশন এর পক্ষ থেকে মসজিদে ৩০ ফিট কার্পেট উপহার টঙ্গী’তে বাতিঘর ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ‘কাটআউট’ পদ্ধতিতে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৭

Reporter Name / ৩৪ Time View
Update : রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩, ১:৫৮ অপরাহ্ন

রাজধানীর খিলক্ষেত থানার কাওলা এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে র‍্যাব পরিচয়ে গাড়ি থামিয়ে ৪৮ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

গত ১০ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে কাওলার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে সংঘঠিত ওই ডাকাতির ঘটনায় গুলশান গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল সাত জেলায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সবুজ মিয়া ওরফে শ্যামল (৩৯), সাহারুল ইসলাম ওরফে সাগর (২৩), আবু ইউসুফ (৪১), দিদার মুন্সী (৩৫), ফেরদৌস ওয়াহীদ (৩৫), আলামিন দুয়ারী দিপু (৪২) ও দাউদ হোসেন মোল্যা (৩৯)।

তিনি বলেন, গত ১০ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাদার টেক্সটাইল লিমিটেডের মালিক সোহেল আহম্মেদ সুলতানের উত্তরার আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে দুটি চেকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির হিসাব কর্মকর্তা অনিমেশ চন্দ্র সাহা সাড়ে ৮৩ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। ভুক্তভোগীর এক ব্যবসায়িক পার্টনারের প্রতিনিধিকে ব্যাংকে বসেই সাড়ে ৩৫ লাখ টাকা বুঝিয়ে দেন। বাকি ৪৮ লাখ টাকা নিয়ে নিজেদের একটি গাড়িতে করে বনানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

গাড়িটি কাওলা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল দিয়ে বনানীর দিকে যাওয়ার সময় বিকেল ৪টার দিকে মেরুন কালারের একটি প্রাইভেট কার এসে কোম্পানির গাড়িটিকে সামনে থেকে গতিরোধ করে।

এসময় কালো রংয়ের জ্যাকেট পরা ৫ থেকে ৬ জন ব্যক্তি নিজেদের র‍্যাব পরিচয় দিয়ে গাড়ি থামায়। র‍্যাব পরিচয় দিয়ে ডাকাত দল গাড়িতে থাকা অনিমেশ চন্দ্র সাহা ও মো. শাহজাহানকে বলে গাড়িতে অস্ত্র আছে। এমন অভিযোগে হাতকাড়া লাগিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে। এরপর ব্যাংক থেকে তোলা টাকা, কোম্পানির একটি ব্লাঙ্ক চেক ও তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। চোখ বাঁধা অবস্থায় অনিমেশ, শাহজাহান ও কোম্পানির গাড়ি চালক আবুল বাশারকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ৩শ ফিট এলাকায় ফেলে চলে যায়।

এই ঘটনায় সোহেল আহম্মেদ সুলতান বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ডিবি প্রধান বলেন, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম তদন্তে নামে। মামলার বাদীর বক্তব্য, সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র‍্যাব পরিচয়ে অপহরণ ও ডাকাতিতে জড়িত দলটিকে শনাক্ত করা হয়।

তদন্তে দেখা যায়, সবুজের নেতৃত্বে ডাকাতি করা দলটি ‘কাটআউট’ পদ্ধতিতে ডাকাতি করে। এর কৌশল হিসেবে ডাকাতি ব্যবহৃত গাড়ির একাধিক নম্বর প্লেট ব্যবহার করে। কাজ শেষে নিজেদের মোবাইল ফোন ভেঙে পানিতে ফেলে দেয়। এরপর নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি করে ভিন্ন ভিন্ন জেলায় গিয়ে আত্মগোপন করে।

গ্রেপ্তার ডাকাত দলের সদস্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, এই চক্রটি ৪৮ লাখ টাকা ডাকাতির পরে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে। এরমধ্যে তারা আইনজীবীদের জন্য আলাদা খরচ রেখে দেয়। ভাগে পাওয়া টাকা দিয়ে কেউ বাড়ি ভাড়া দিয়েছেন, স্ত্রীর গহনা কিনেছেন, জুয়া খেলেছেন। ৪৮ লাখ টাকার মধ্যে সাড়ে ২৩ লাখ উদ্ধার উদ্ধার করা হয়। বাকি টাকা উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

ডাকাত দলটিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বর্তমান বা সাবেক কোনো সদস্য জড়িত কি না জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা আগে বিভিন্ন ডাকাত দলের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাবেক সদস্যদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেলেও এই দলে এমন কেউ নেই। তবে দলটিতে একজন মহুরি পাওয়া গেছে। সাগর নামের একজন অনার্স-মাস্টার্স পাস করা আইনজীবীর সহকারী পাওয়া গেছে। তিনি ডাকাত দলের একজনকে জামিন করাতে গিয়ে তাদের সঙ্গে জড়িয়ে যান। এরপর মুহুরি পেশা ছেড়ে ডাকাতির কাজে জড়িয়ে পড়েন। তার দায়িত্ব হলো বিভিন্ন ব্যাংকে রেকি করে বড় অংকের টাকা উত্তোলনকারী গ্রাহকের তথ্য সরবরাহ করা। তারা পেশাগত ডাকাত।

এই চক্রের প্রত্যেক সদস্যের নামে ডিএমপিসহ দেশের ১৩ জেলায় ১০ থেকে ১৫টি করে ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মাদক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। পলাতক ও লুণ্ঠিত বাকি টাকা উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।

বিজ্ঞাপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Support By Tanvir Tech