প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ট্রেনটি ১টার সময় মাওয়া স্টেশন ছেড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষে ট্রেনকে বর্ণিল কাগজ ও ফুল দিয়ে সাজানো হয়ে। তার সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, তার উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য, সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনরাও এই সফরে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে টিকিট কেটে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছেন । মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে মাওয়া স্টেশন থেকে তিনি ট্রেনের টিকিট কাটেন। এসময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন শেখ রেহানা ও প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের তিন শিশু সদস্যও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী ট্রেনের জানালা দিয়ে পমত্ত পদ্মা সেতুর রূপ অবলোকন করেন। ট্রেনে বসেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রেনের সংযোগটা হলো, পদ্মা সেতু আমরা নিজেদের অর্থায়নে করতে পেরেছি। যার ফলে আমরা বাংলাদেশের মানুষ; যাদের কথা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না।
বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এর ফলে আমাদের আত্মবিশ্বাসটা এসেছে। এই পদ্মা সেতু নির্মাণের যারা শ্রম দিয়েছে, কাজ করেছে সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর ধন্যবাদ জানাচ্ছি দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই।‘ প্রধানমন্ত্রী আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।
পদ্মা সেতুর নিচ লেন দিয়ে যখন ট্রেন যাচ্ছিলো তার উপরের লেনে পাড়ি দেয় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর। রেলপথে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ভাঙ্গা রেল স্টেশনে পৌঁছাবেন। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা সেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন ক্ষমতাসীন দলের প্রধান শেখ হাসিনা।