সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
গাজীপুরে ট্রেনের পাওয়ার কারে আগুন যানজট নিরসনে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের মতবিনিময় সভা সুরাইয়া কবীর সাথীর “আমার যখন ফুরাবে দিন” এখন বাজারে সোনাগাজী উপজেলায় ৪ ইউনিয়নে তাঁতী দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা টঙ্গীতে ❝আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে করণীয় কী❞ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। জিয়া পরিবারকে ভালোবাসার অপরাধে ২১ মামলার আসামি হয়েছে আব্দুল্লাহ আল আমিন। আইইউটিতে টানা তৃতীয় সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে, ওআইসির প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাসে তারুণ্যের স্বদেশ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ সেবা কনস্ট্রাকশন এর পক্ষ থেকে মসজিদে ৩০ ফিট কার্পেট উপহার টঙ্গী’তে বাতিঘর ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত

সুরা হুজুরাত নাজিলের পর সাহাবিরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন

মুক্তকণ্ঠ ইসলামিক / ৩৬ Time View
Update : রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
নমুনা ছবি সংগ্রহীত
নমুনা ছবি সংগ্রহীত

সুরা হুজুরাত নাজিল হওয়ার পর অনেক সাহাবিরা ভয় পেয়েছিলেন। প্রথম দুটি আয়াতে আল্লাহ সাহাবিদের উপদেশ দিচ্ছেন। আল্লাহ সাহাবিদের উপদেশ দিয়েছেন রাসুল (সা.)–এর সামনে তাঁদের গলার স্বর নিচু করার জন্য।

হজরত উমর (রা.) ছিলেন উচ্চ কণ্ঠস্বরের অধিকারী। এই আয়াত নাজিল হওয়ার পর তিনি আস্তে কথা বলতে শুরু করেন।

এই আয়াত নাজিল হওয়ার পর তিনি আস্তে কথা বলতে শুরু করেন। সুরা নাজিলের পর অনেক সাহাবি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। কারণ এই সুরায় আল্লাহ তায়াল বললেন, ‘হে মু’মিনগণ! তোমরা নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উচ্চ করো না। তোমরা নিজেরা পরস্পরে যেমন উচ্চ আওয়াজে কথা বল, তাঁর সঙ্গে সে রকম উচ্চ আওয়াজে কথা বলো না। তা করলে তোমাদের (যাবতীয়) কাজকর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে, আর তোমরা একটু টেরও পাবে না।’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত: ২)

আয়াতটি নাজিল হওয়ার পর সাহাবি সাবিত ইবনে কায়েস (রা.)–ও ভীত হয়েছিলেন। তিনি মদিনাবাসীর প্রতিনিধিত্ব করতেন। তাঁর কণ্ঠস্বরও ছিল সবচেয়ে উঁচু। যুদ্ধ ও সমাবেশে তিনি ছিলেন খতিব। উঁচু স্বরে রাসুল (সা.)–কে ডাকতেন। সুরা হুজুরাতের দ্বিতীয় আয়াত নাজিল হওয়ার পর সাবিত (রা.)–কে কিছুদিন দেখা গেল না। রাসুল (সা.) সাবিত (রা.)–কে আশপাশে দেখতে না পেয়ে সাদ ইবনে মুয়াজ (রা.)–কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘সাবিতের কী হয়েছে? সে কোথায়? সে কি অসুস্থ? তাকে যে কিছুদিন ধরে দেখছি না, আমাদের উচিত তাকে দেখতে যাওয়া?’’

 

সাদ ইবনে মুয়াজ (রা.) বললেন, ‘‘সাবিত (রা.) আমার প্রতিবেশী, তিনি অসুস্থ হলে জানতাম। আমার মনে হয় না তিনি অসুস্থ। তারপরও আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

সাদ (রা.) তাঁর প্রতিবেশীর খোঁজ নিতে গেলেন। সাবিত (রা.) দরজায় এসে দাঁড়ালে সাদ (রা.) দেখতে পেলেন, অশ্রু বিসর্জনের কারণে তাঁর দুই চোখ লাল হয়ে আছে। সাদ (রা.) কারণ জানতে চাইলেন।

সাবিত (রা.) বললেন, ‘‘এই যে সুরা হুজুরাতের এই আয়াত নাজিল হয়েছে, আপনারা জানেন আমার কণ্ঠস্বর উঁচু। রাসুল (সা.)–এর কণ্ঠের চেয়ে আমি আমার কণ্ঠকে উঁচু করেছি। কাজেই এই আয়াতের উদ্দেশ্য আমি। নিশ্চয়ই আমি জাহান্নামের একজন। আল্লাহ আমাকে তিরস্কার করে কোরআনের একটি আয়াত নাজিল করেছেন। তাই জাহান্নামে যাওয়া ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।’’

সাদ (রা.) রাসুল (সা.)–এর কাছে ফিরে এসে পুরো ঘটনা বললেন। রাসুল (সা.) সব শুনে বললেন, সে বরং জান্নাতবাসী!

রাসুল (সা.)–এর কাছ থেকে জান্নাতের কথা শুনে সাবিত (রা.) উচ্চস্বরে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তাকবির দিতে শুরু করলেন। এর পর রাসুল (সা.)–এর কাছে গিয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন।

সুরা হুজুরাত পবিত্র কোরআনের ৪৯তম সুরা। সুরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়। নেতার সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে এবং রাসুল অন্দরমহলে থাকলে কেমন ব্যবহার করতে হবে, এতে তার উল্লেখ রয়েছে।এই সুরাকে সুরাতুল আদব বা আদবের সুরা বলা হয়। সুরাটি আদব শেখায়। সুরায় আরও বলা হয়েছে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশের প্রতীক্ষা না করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না। মুসলমানরা পরস্পরের ভাই। তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা করতে হবে। গুজবের সত্যতা যাচাই করতে হবে। বিদ্রূপ বা রটনা পরিত্যাগ করতে হবে। মানুষের মর্যাদা বংশ বা জাতির ওপর নির্ভর করে না।

বিজ্ঞাপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Support By Tanvir Tech