বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় গ্যালারি ভর্তি দর্শক। প্রায় ৭ হাজার দর্শককে হতাশ করেনি বাংলাদেশ। মঙ্গলবার ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের ফিরতি লেগে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়ে এশিয়ান অঞ্চলের গ্রুপপর্বে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ। এর আগে মালদ্বীপের মালেতে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। রক্ষণ সামলে প্রতিপক্ষের ডেরায় বারবার হানা দিয়ে মালদ্বীপকে চাপে রেখেছিল স্বাগতিকরা। গোল পেতে অপেক্ষা করতে হলো মিনিট দশেক।
১০ মিনিটে ফহিমের পাস থেকে রাকিবের দারুণ এক গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ১৪ মিনিটে আবারও এগিয়ে যেতর পারতো লাল সবুজরা। ডান প্রান্ত থেকে জামাল লম্বা করে বল বাড়িয়ে দেন। ডি-বক্সের ভেতর থেকে শুট নিলে মালদ্বীপের গোলরক্ষক হুসাইন শরীফ দারুণভাবে সেইভ করে দলকে বাঁচান। ২১ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েছিল বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়। এ যাত্রায় বিপদ থেকে বেঁচে যায় স্বাগতিকরা।
২৫তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক কিক নিয়েছিলেন সোহেল রানা। তবে তার কিক নেয়া বল চলে যায় গোলপোস্টের উপর দিয়ে।
২৯ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ মিস করেন রাকির। হৃদয়ের বাড়ানো বর পেয়ে ডি-বক্সের কাছে গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেন নি রাকিব। গোলকিপারের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে তার পায়ে লেগে নিশ্চত গোল থেকে বেঁচে যায় সফরকারীরা।
৩৩ মিনিটে দারুণ সেভে বাংলাদেশকে বাঁচান মিতুল মারমা। হামজা মোহামেদ বল নিয়ে ঢুকে পড়েন বক্সের ভিতর। কোনাকুনি শট নিলে কর্ণারের বিনিময়ে বাঁচিয়ে দেন মিতুল।
পরের মিনিটেই আবারও দারুণ সুযোগ মিস করেন রাকিব। ডানপ্রান্ত থেকে জামালের ক্রস ঠিকঠাক পায়ে লাগাতে পারেনি রাকিব।
৩৫ মিনিটে সমতায় ফেরে মালদ্বীপ। বক্সের ভেতর থেকে সহজেই গোলটি করেন এইসাম ইব্রাহিম। পরে আর কোনো গোল না হলে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বা প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে শুট নেন সাদ উদ্দিন। গোলকিপার ফিরিয়ে দিলে ফিরতি শটে জাল খুঁজে নেন ফয়সাল আহমেদ।
এরপর ৫৯ মিনিটে ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি। লাল কার্ড দেখে মোহাম্মদ সোহেল রানা মাঠ থেকে বেরিয়ে গেলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ।
এরপরই সুযোগ মিস করেন ফয়সাল। জামালের বাড়ানো বলে পেনাল্টি বক্স থেকে পা ছোয়াতে পারেনি ফয়সাল।
৭১ মিনিটে আবারও এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। ডান প্রান্ত থেকে বাড়ানো বল পায়ে লাগাতে ব্যর্থ হয় ফয়সাল। পরের মিনিটেই দারুন এক সেভ করেন মিতুল। ইব্রাহিমের দূরপাল্লার শট বাদিকে ঝাপিয়ে বল আটকে ফেলেন মিতুল মারমা। ৭৯ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ফয়সালের দারুণ এক শট বার ঘেষে চরে যাই বাইরে।
শেষ মুহূর্তের খেলায় ৮৯ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে বল জালে জড়ান বিশ্বনাথ ঘোষ। তবে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। অতিরিক্ত মিনিটে টানা তিনবার কর্নার পায় মালদ্বীপ। তবে কোনো কাজে লাগাতে পারেনি।
৯৪ মিনিটে প্রায় ঢুকে পড়েছিলেন জনি। তাকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছড়েন বিপক্ষ দলের খেলোয়াড় আহনাফ রাশেদ। অবশেষে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।