চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে যান চলাচল শুরু হয়েছে। রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত এই টানেলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। আর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানেল দিয়ে ২ হাজার ৬৪টি গাড়ি চলাচল করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬০০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্রাফিক) তানভীর রিফা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শনিবার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের পর আজ সকাল ৬টা থেকে যান চলাচল শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই ১২ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে মোট ২ হাজার ৬৪টি যানবাহন চলাচল করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। আর সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এই ছয় ঘণ্টায় ৪৮৬টি গাড়ি চলাচল করে। এতে ১ লাখ ১৭ হাজার ২১৫ টাকার টোল আদায় হয়।’
এর আগে শনিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা প্রান্তে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রথম টোল প্রদানকারী যাত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী টানেল পার হন। টানেল পার হওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের গাড়ির জন্য ২০০ টাকা এবং তার সঙ্গে থাকা গাড়ি বহরের ২০টি গাড়ির জন্য ৪ হাজার টাকা টোলও পরিশোধ করেন। তবে উদ্বোধনের দিন সাধারণ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত ছিল না।
বঙ্গবন্ধু টানেলের টোলহার চূড়ান্ত করে গত ১৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে সেতু বিভাগ। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু টানেলে মোট ১২ ধরনের যানবাহনকে টোল দিতে হবে। তবে টানেলে মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। টানেলে সর্বনিম্ন টোল ধরা হয়েছে প্রাইভেট কার পারাপারে। এতে ধরা হয়েছে ২০০ টাকা। প্রতিবার পিকআপ পারাপারে টোল দিতে হবে ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ২৫০ টাকা। ৩১ আসনের কম আসনের বাসের টোল ৩০০ টাকা। ৩২ আসনের বেশি বাসের টোল ৪০০ টাকা।
তিন এক্সেলবিশিষ্ট বড় বাসের টোল দিতে হবে ৫০০ টাকা। পাঁচ টন পর্যন্ত পণ্য পরিবহনে সক্ষম ট্রাকের টোল দিতে হবে ৪০০ টাকা। আট টনের ট্রাক পারাপারে টোল দিতে হবে ৫০০ টাকা এবং ১১ টনের ট্রাক পারাপারে ৬০০ টাকা। তিন এক্সেলের ট্রেইলারে টোল দিতে হবে ৮০০ টাকা, চার এক্সেলের ট্রেইলারকে দিতে হবে এক হাজার টাকা। এ ছাড়াও পরবর্তী প্রতি এক্সেলের জন্য বাড়তি টোল দিতে হবে ২০০ টাকা।