চট্টগ্রাম নগরের চেরাগী পাহাড়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারিতে আসকার বিন তারেক খুনের ঘটনায় সুমন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার কোতোয়ালী থানা পুলিশের তাকে গ্রেপ্তার করে। সে তারেক খুনের মামলার প্রধান আসামি। সুমন নগরের এমইএইচ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী। নিহতের বাবা এসএম তারেক বাদী হয়ে আট জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
খুন হওয়া আসকার বিন তারেক নগরীর বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। সে জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। নগরীর এনায়েত বাজারে জমির উদ্দিন ম্যানশনের বাসিন্দা তারা।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার মুজাহিদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, চেরাগি পাহাড়ে আড্ডা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এরা সংঘাতে জড়ায়। দুই গ্রুপই আক্রমনাত্বক। তারা কথায় কথায় মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। তারেক খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চলছে। এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক কোনো ঘটনার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
২২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর কোতোয়ালী থানার চেরাগি পাহাড় সংলগ্ন রাজাপুর লেইনে দয়াময়ী ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। উঠতি বয়সের কিশোর-তরুণ বয়সী ছেলে চেরাগি পাহাড়ে নিয়মিত আড্ডা দেয়। তাদের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।সন্ধ্যায় তারা আন্দরকিল্লা হাতাহাতিতে জড়ায়। এরপর চেরাগি পাহাড়ের পেছনদিকে রাস্তায় গিয়ে মারামারি করে। তারেক ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
উঠতি বয়সের বখাটে তরুণদের চেরাগি পাহাড় এলাকায় প্রায়ই তুচ্ছ ঘটনায় মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়নের কাছে সংঘাতে জড়িতরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। শৈবাল নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। কাউন্সিলরের প্রশ্রয়েই এসব তরুণরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভড করেননি
–যুগান্তর