মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
গাজীপুরে ট্রেনের পাওয়ার কারে আগুন যানজট নিরসনে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের মতবিনিময় সভা সুরাইয়া কবীর সাথীর “আমার যখন ফুরাবে দিন” এখন বাজারে সোনাগাজী উপজেলায় ৪ ইউনিয়নে তাঁতী দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা টঙ্গীতে ❝আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে করণীয় কী❞ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। জিয়া পরিবারকে ভালোবাসার অপরাধে ২১ মামলার আসামি হয়েছে আব্দুল্লাহ আল আমিন। আইইউটিতে টানা তৃতীয় সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে, ওআইসির প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাসে তারুণ্যের স্বদেশ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ সেবা কনস্ট্রাকশন এর পক্ষ থেকে মসজিদে ৩০ ফিট কার্পেট উপহার টঙ্গী’তে বাতিঘর ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের নিশ্চয়তা চেয়ে ইইউ পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা / ৪৪ Time View
Update : শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১:০১ পূর্বাহ্ন

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক উপায়ে সম্পন্ন হবে, বাংলাদেশ সরকারের কাছে এমন নিশ্চয়তা চেয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পার্লামেন্ট এক প্রস্তাব পাস করেছে।

স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এই প্রস্তাব পাস করেছে। প্রস্তাবে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি, বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও তাঁদের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ইপির ছয় সদস্য (এমইপি–মেম্বার অব ইউরোপীয় পার্লামেন্ট) প্রস্তাবটির ওপর বুধবার রাতে বিতর্কে অংশ নেন। এরপর আজ প্রস্তাবটি পাস হয়।

প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী স্থানীয় ও বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জন্য আগামী নির্বাচনে বাধাহীন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে এমইপিরা বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। জবরদস্তি গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো সরকার ও বিচার বিভাগের দ্বারা হয়রানি ও নিপীড়নের সম্মুখীন হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শ্রমিকদের অধিকার খর্ব হচ্ছে।

প্রস্তাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে অধিকারের দুই নেতা আদিউর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিচারের প্রসঙ্গটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

ছবি: আদিউর রহমান

এমইপিরা নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চর্চার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুসরণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রস্তাবে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বিধিবিধানের মারাত্মক লঙ্ঘন অব্যাহত থাকার মধ্যেও দেশটিকে ইইউভুক্ত অঞ্চলে অস্ত্র ছাড়া সকল পণ্য (এভরিথিং বাট আর্মস–ইবিএ) রপ্তানির সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকারের সঙ্গে যা করা হলো, তা নিন্দনীয় পশ্চাৎযাত্রা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য ইবিএ সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়।

ইপি সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে, অধিকারসহ এমন অনেক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। তাদের কাজকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে হয়রানি করা হচ্ছে।

আলোচনায় অংশ নেওয়া এমইপিরা অবিলম্বে সংগঠনগুলোকে হয়রানি বন্ধ করা ও সংগঠনের মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে তাগিদ দেন।

মানবাধিকার সংগঠন অধিকারকে টার্গেট করে হয়রানি প্রসঙ্গে তারা বলেন, সংগঠনটির সদস্যরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সরকারের কর্মকর্তাদের নজরদারি ও ভয়ভীতি দেখানোর শিকার হচ্ছেন বলে অনেক অভিযোগ আছে। অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এএসএম নাসিরউদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে করা মামলায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।

ইপিতে আনা প্রস্তাবে সদস্যরা বলেছেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের উচিত মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা করা, যাতে দেশটিতে মানবাধিকার কর্মী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য কাজের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত হয়।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছে ইপি। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিসহ তাদের প্রস্তাবের বিষয়বস্তুগুলো এমইপিদের তাদের নিজ নিজ দেশ ও দায়িত্বের অধীন এলাকায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Support By Tanvir Tech