জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনের শহীদেরা কেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, কেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চেয়েছিলেন। সেই বিষয়বস্তুকে সামনে রেখে শহীদ শিক্ষার্থীদের আকাঙ্খা ও যৌক্তিক চাওয়াকে প্রাধান্য দিতে গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষের মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় টঙ্গী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এই মতবিনিময় সভায় আগামী দিনে টঙ্গী কলেজে শিক্ষার গুনগতমানের উন্নয়ন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় শতভাগ এ প্লাস নিশ্চিতকরণ এবং শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনের লক্ষ্যে কাজ করাসহ সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে মিলে মিশে কাজ করার মাধ্যমে সুন্দর কলেজ গড়ার আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও আগামীদিনে কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের ভোগান্তি নিরসনে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কলেজটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ ফারজানা পারভীন এবং কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ১৯৭২ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় টঙ্গী সরকারি কলেজ। ১৯৮৮ সালের ৪ জানুয়ারি টঙ্গী কলেজ জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৯৬ সালে মানবিক ও বাণিজ্য শাখার ৮টি বিষয়ে স্নাতক কোর্স এবং পর্যায়ক্রমে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু হয়। ২০১২ সালে বিজ্ঞান ও মানবিক শাখায় আরো চারটি বিষয়ে স্নাতক কোর্স চালু হয়। এরপর সাফল্যের সাথে নিয়মিত পাঠদান চলছে কলেজটিতে।
গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার পালানোর পর দেশের মানুষ এখন স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পাচ্ছে। জুলাই বিপ্লবের ওই গরম সময়ে শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত ব্যানার ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আর সেসময় এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ভূমিকা ছিল ব্যাপক। আন্দোলনে পুরোদেশে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অগণিত। সেই ধারাবাহিকতায় জুলাই বিপ্লবে শহীদ হয়েছেন টঙ্গী সরকারি কলেজের ৩ জন শিক্ষার্থী এবং আহত হয়েছেন অসংখ্য।