শনিবার (৭ অক্টোবর) গত কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলে সবচেয়ে বড় আক্রমণ চালিয়েছে ফিলিস্তিনের হামাস গোষ্ঠী। আজ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে শনিবার একের পর এক রকেট ছোড়া হয়েছে ইসরায়েলের শহরগুলোকে লক্ষ্য করে।
টাইমস অভ ইসরায়েল ও জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, হামাসের হামলায় অন্তত ১০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। তবে আরেক ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এবং বিসবি নিহতের সংখ্যা অন্তত ৭০ জন বলে জানিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অন্তত ৭০০ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের অনেক সেনা ও বেসামরিক ইসরায়েলিকে আটক করেছে বলে দাবি করেছে হামাসের সামরিক ইউনিট কাসিম ব্রিগেড। যদিও কতজনকে আটক করা হয়েছে, তার সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান-সমর্থিত হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ‘গুরুতর ভুল করেছে’।
এ আক্রমণে হামাসের বিপুলসংখ্যক বন্দুকধারী যোদ্ধা গাজা থেকে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছেন।
এদিকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, দক্ষিণ ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর মধ্যে লড়াই চলছে।
এদিকে যুদ্ধ শুরুর পর গাজায় মানুষজন কয়েকদিন চলার মতো জিনিসপত্র কেনার জন্য দোকানে ভিড় জমিয়েছে। অনেকেই নিজ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে রওনা দিয়েছেন।
হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ জানিয়েছেন, ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে ৫ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি সব ফিলিস্তিনিকে লড়াইয়ে যোগ দিতে আহ্বান জানান।
একের পর এক রকেট ছুড়েছে হামাস গাজা থেকে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের পুলিশপ্রধান কোবি শাবতাই বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনীও পাল্টা আক্রমণে হামাসের কয়েকজন যোদ্ধাকে হত্যা করেছেন। এ পরিস্থিতিতে তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ঘরে অবস্থান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
২০২১ সালের ১০ দিনের যুদ্ধের পর এটিই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ।