সরকার পতনের আন্দোলন কর্মসূচি হিসেবে বরিশাল বিভাগে রোডমার্চ শুরু করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। নগরীর বেলস পার্ক থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় এই কর্মসূচি, তাদের এই রোডমার্চ ঝালকাঠি হয়ে পিরোজপুরে গিয়ে শেষ হবে।
রোড মার্চ শুরুর আগে বেলস পার্কে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। যেখানে এই কর্মসূচিকে আগামীর বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, “দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে। আর সেই মুক্ত করার জন্য সকলকে রাজপথে নেমে আসতে হবে। আমরা এই সরকারের পতন চাই। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় নাই, সেই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা নির্দলীয় সরকার গঠন চাই। আর সেই দাবিতে সারাদেশের মানুষ রোড মার্চ করছে, সভা করছে, মিছিল করছে।”
বরিশালে রোড মার্চে নজরুল ইসলাম খান ছাড়াও সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনসহ কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা রয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে সিলেট অভিমুখে রোড মার্চ করেন বিএনপি। দেশের জাতীয় নির্বাচনের আগ দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তার অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য বন্দিদের মুক্তির দাবিতে টানা রোড মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগে, ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ বিভাগে, ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে রোড মার্চ করবেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে শুরু হয়ে ফেনী, মিরসরাই হয়ে চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত যাবে মার্চ। নেতৃত্ব দেবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে গত ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে দুটি রোড মার্চ হয়, যেটি আয়োজন করে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিএনপি মহাসচিব এক দফা আন্দোলনের টানা ১৫দিনের কর্মসূচি কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। এই কর্মসূচিতে বিভাগ পর্যায়ে রোড মার্চ, ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ, পেশাজীবী কনভেশনের ডাক দেওয়া হয়।