রহস্য উদঘাটনের দাবি পুলিশের
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে স্বামী-স্ত্রী খুনের মামলায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভয়ভীতি প্রদর্শন, চুরি ও চোরদের চিনে ফেলায় খুনের এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি পুলিশের।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. সোহাগ হোসেন ওরফে সোহাগ মুন্সি (২৯), মিজান ওরফে গোলাম আজম ওরফে মো. মিজান হোসেন (৬৯), মাসুদ রানা (২৫), শ্যামল চন্দ্র শীল (২০), মো. আলমাস (৩৫), মো. নেছার আহম্মেদ (৩০), মো. রাকিব হোসেন (২৩), মো. রাশেদ ওরফে রাসেল (২৬) মাসুদ কামাল (৪৫) শাহ আলম বাবুল (৪২)।
তাদের মধ্যে সোহাগ মুন্সি ও মিজান গোলাম আজম (৬৯) আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। সব আসামি কারাগারে আছেন।
রোববার বিকালে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “এ মামলায় আমরা ১০ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে দুজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ কয়েক জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ভয়ভীতি প্রদর্শন, চুরি ও চোরদের চিনে ফেলায় এ হত্যাকাণ্ড দাবি করে সুদীপ্ত রায় বলেন, “তবে অন্য বিষয়ও আমরা খতিয়ে দেখছি। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণটি উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।”
গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বড়কুল ইউনিয়নের বড়কুল উত্তর গ্রামে উত্তম বর্মন (৬০) ও তার স্ত্রী কাজলী রানীকে (৪৫) হাত-পা বেঁধে হত্যা করা হয়। রাতের কোনো এক সময়ে ওই গ্রামের পাইন্না বাড়ির (কালা শিকদার বাড়ি) দুলাল সাহার ঘরে জানালা কেটে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটায়। ঘটনার পরদিন নিহতদের মেয়ে রিনা রানীর অভিযোগের ভিত্তিতে হাজীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের হয়। মামলায় মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রাশেদ চৌধুরী, ডিআইও-১ মো. মনিরুল ইসলাম, হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)।