আজান দেওয়ার সময় মুয়াজ্জিনকে কুপিয়ে পালিয়ে গেল যুবক আহত মুয়াজ্জিন নুরুল ইসলাম লেদু
চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ফজরের আজান চলাকালীন সময়ে মসজিদে ঢুকে মুয়াজ্জিনকে কুপিয়ে পালিয়ে গেছেন এক যুবক।
তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম- মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু (৪৮)।
মুয়াজ্জিন ও অভিযুক্ত যুবক হাজীগঞ্জের একই এলাকার বাসিন্দা।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) মুয়াজ্জিনের ওপর এ হামলা চালানো হয়।
খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মুয়াজ্জিনের ছেলে মুনাব্বর হোসেন ইকরাম তার বাবাকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
বাবার পক্ষে তিনি বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ওই মসজিদের ইমাম শাহ সুলতান ভূঁইয়া জানান, মিঠু গত কয়েকদিন ধরে তাকে ও মুয়াজ্জিনকে গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে আসছেন। গেল ১৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুর রহমানের ছোট ছেলের জানাজার খবর মসজিদে মাইকিং করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মিঠু। কেন শিশুর মৃত্যুর খবর মাইকিং করা হলো এর জবাব চান তিনি।
মুনাব্বর হোসেন ইকরাম বলেন, শনিবার রাতে বাবাকে গালিগালাজ ও হুমকি দেয় মিঠু। তখন দোকানের সামনে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। ভোরে বাবা আজান দেওয়া অবস্থায় এই হামলা করেন মিঠু। পরে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
মাদরাসাশিক্ষক মাহমুদুল হাসান ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ফজরের আজানে ‘হাইয়াআলাস সালা, হাইয়াআলাস সালা’ বলার পর মুয়াজ্জিন নুরুল ইসলাম লেদু ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ বলে চিৎকার দেন। দ্রুত এসে দেখি মিঠু মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযুক্ত মিঠুর ছোট ভাই শাহ পরান বলেন, তার বড় ভাই মিঠু এই ঘটনায় জড়িত নন। যারা এমন হামলায় জড়িত তাদের শনাক্ত করে বিচারের দাবি জানাই ।
তবে ঘটনার পর তার ভাই মিঠু পালাতক রয়েছেন বলেও স্বীকার করেন তিনি।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রশিদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।