Update :
সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৫:১৫ পূর্বাহ্ন
Share
তিস্তায় গোসলে নেমে নিখোঁজ ছেলের খোঁজ চার দিনেও মেলেনি। ছেলে শোকে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন বাবা। একই অবস্থা মায়ের। কান্নায় মাটিতে লুটিয়ে বিলাপ করছেন, ‘আল্লাহ তুই তো জান নিয়ায় নিছিস। শুধু একটা বারের জন্যে মোর বুকের ধনের মুখটা দেকবার দে। তুই ক্যানে এত কঠিন হলু।
গত বুধবার রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন নাইস আহমেদের (১৯)। চার দিন পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি তাঁর। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দিলেও স্বজনেরা নদীর আশপাশে খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন। জীবিত না হোক মরদেহটা চায় পরিবার।
নাইস আহম্মেদ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের গনেশের বাজার এলাকার মোনাব্বের হোসেনের ছেলে। তিনি গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের বিদিতর হরিথান এলাকায় নানা ইউসুফ আলীর বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতেন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি অটো ভ্যানে করে ছয় বন্ধু তিস্তায় গোসলে নামে। এ সময় ছয় বন্ধুই নদীর স্রোতে তলিয়ে যাচ্ছিল। একজন কোনো রকমে সাঁতরে পাড়ে উঠলেও বাকি পাঁচজন স্রোতে টানে তলিয়ে যেতে থাকে। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন নৌকা দিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করতে পারলেও অন্য দুজন সেখানেই নিখোঁজ হন। তাঁরা দুজনেই এইচএসসি পরীক্ষার্থী। নিখোঁজের ৩২ ঘণ্টা পর মুন্না আহমেদ (১৮) নামে এক পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার হলেও নাইস আহমেদ এখনো নিখোঁজ।
গঙ্গাচড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মমতাজুল ইসলাম বলেন, এত দিনে লাশটি ভেসে ওঠার কথা। চার দিনেও লাশ ভেসে ওঠেনি। ধারণা করা হচ্ছে লাশটি পানির নিচে কোথাও চাপা পরে আটকে যাওয়ায় ভেসে উঠতে পারেনি। এতক্ষণ হয়তো লাশের শরীর থেকে মাংস আলাদা হতে শুরু করেছে।