গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনে দাঁড়িয়েছে। গত বুধবার কালীকাইর উপজেলার একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন গুরুতর দগ্ধ হন। শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন বছরের শিশু তায়েবা মারা যান। তিনি ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিলেন এবং ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এর আগে, শনিবার সকালে, ৪৫ বছর বয়সী মানসুর আলী আকন্দ মারা যান। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সলদা উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন এবং গাজীপুরের কালীকাইরে বসবাস করতেন। তিনি ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিলেন এবং ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এই বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও ৩৫ জন আহত হন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিলেন। তাদের সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে সাতজন আইসিইউতে এবং একজন উচ্চ-নির্ভরতা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, একটি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিকেজ শুরু হলে সেটি বাইরে নিয়ে ফেলা হয়। গ্যাস জমে থাকা অবস্থায় চুলা জ্বালানোর চেষ্টা করলে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে আশপাশের বাড়ির জানালা ও দরজা ভেঙে যায় এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় স্থানীয়রা জানান, বিস্ফোরণের সময় অনেক মানুষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, যারা আগুনে দগ্ধ হন।
গাজীপুরের এই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ একটি মর্মান্তিক ঘটনা, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুত্ব এবং গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করে