• হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • র্নিবাচন
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • আইন ও বিচার
  • ইসলাম
  • খেলা
  • অন্যান্য
    • লাইফস্টাইল
    • অন্যান্য খবর
    • বিনোদন

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা উদ্বেগ, কী বলছে কর্তৃপক্ষ

  • February 12, 2021
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা উদ্বেগ, কী বলছে কর্তৃপক্ষ

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বাংলাদেশে এবার এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়া সবাইকে পাস করিয়ে দিয়েছে সরকার।

কিন্তু এইচএসসির পর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।

শিকদার আসাদ নামে একজন শিক্ষার্থী বলছেন, “আমরা মেধার ভিওিতে মূল্যায়ন চাই। যেহেতু অটোপাস দেওয়া হয়েছে সেহেতু জিপিএ কোনো সঠিক পরিমাপ হতে পারে না। সকলকেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে। পরীক্ষায় প্রাপ্ত নাম্বারই হোক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির একমাত্র মাপকাঠি।”

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের আগে পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হবে। সেই আবেদন থেকে যাচাই-বাছাই করা নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রার্থীকেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে।

অর্থাৎ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেক শিক্ষার্থীর এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে না।

এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করতে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আর এর পরেই নানা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মনে।

জিপিএ ৫ এর নীচে যাদের নম্বর তারা কি পরীক্ষা দিতে পারবে?

সূর্য রায় নামে একজন তার ফেসবুকে লিখেছেন “GPA 5 ছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ নেই নিউজটা কী সত্য?”

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি বলছে পরীক্ষা দিতে পারবে সবাই। কিন্তু মূল সংকটের জায়গাটা হল ‘ক্যাপাসিটি’ বা ধারণক্ষমতা।

কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. আলমগীর বলছিলেন, “বুয়েটের যতো সংখ্যক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার সামর্থ্য আছে তারা ঠিক ততো জনেরই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। তারা অন্য কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা নেবে না। তাছাড়া তাদের পরীক্ষা লিখিত হয়। সেক্ষেত্রে একটা সময় লাগে খাতা মূল্যায়ন করতে। টেকনিক্যাল যেসব বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেমন রুয়েট, চুয়েট সবাই এভাবেই পরীক্ষা নেবে।”

মি. আলমগীর বলছেন, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা নেয়। তাদের পরীক্ষা পদ্ধতি এমসিকিউ। সেক্ষেত্রে একটা সুবিধা আছে।

তিনি বলেন, ” আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয়কে পরামর্শ দিয়েছি যাতে তারা যত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া যায় কীনা সেটাও দেখতে। এতে করে সময় কম লাগবে।”

এবারে অটোপাসে এক লক্ষ ৬০ হাজার শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন জানাচ্ছে।

বিভাগ পরিবর্তন করা যাবে

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্যকেন্দ্র নামে একটা গ্রুপে #গুচ্ছ সিলেকশন বাতিল চাই নামে একটা প্রচারণা চলছে।

সেখানে অনেকে বিভাগ পরিবর্তন করা যাবে কীনা সেবিষয়েও জানতে চেয়েছেন।

আগে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিটে পরীক্ষা দিয়ে আর্টস, সায়েন্স, কমার্স ইত্যাদি বিভাগ পরিবর্তন করতে পারতো।

কিন্তু এই গুচ্ছ পরীক্ষায় সেটা সম্ভব কীনা তা নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন।

ইসমিতা আরেফিন জেরিন বলছেন, “আমি খুব ভাল প্রস্তুতি নিয়েছি, কিন্তু ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবো কিনা খুব টেনশনে পড়ে গেছি, একেকজনের একেক কথা শুনে মনোবল আরো ভেঙ্গে যাচ্ছে।”

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি এবং গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতির বাইরে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সেগুলোতে সবাই বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবে।

উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য আলাদা তিনটি পরীক্ষা হবে।

এই তিনটি শাখার পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ গ্রুপে পরীক্ষা দিয়েই বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবে।

অর্থাৎ আবেদনে টিকে যাওয়া শিক্ষার্থী একটি পরীক্ষা দিয়েই যোগ্যতা অনুযায়ী ভর্তির সুযোগ পাবেন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কতটা ধারণক্ষমতা আছে?

এবার যেহেতু এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে, গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মানবিক বিভাগের পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় দুটো মিলিয়ে ন্যূনতম জিপিএ-৬ থাকতে হবে। ব্যবসায়ে শিক্ষা বিভাগের জন্য মোট জিপিএ-৬.৫ এবং বিজ্ঞানে মোট জিপিএ-৭ থাকতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কিন্তু এর বাইরে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সেখানে জিপিএ ৫ না থাকলে আবেদন করা যাবে না বলে গুঞ্জন রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করবে।

তিনি বলেন, “এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”

তবে এখনই সেই যোগ্যতা নির্ধারণ বা পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ সম্পর্কে তিনি কিছু বলেন নি।

এদিকে ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান বলেন, “সবাই তাদের পছন্দ মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষায় সবার ভর্তির সুযোগ রয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে বাংলাদেশে সরকারি, বেসরকারি, কারিগরি, জাতীয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল সব মিলিয়ে ১৩ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে।

এছাড়া অনেক শিক্ষার্থীর লক্ষ্য দেশের বাইরে পড়াশোনা করা। তাই এই ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ হারানো মানে এই নয় যে তাদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ হারাতে হবে।

সূত্রঃ বিবিসি

Comments

comments

  • Share this post
  • twitter
  • pinterest
  • facebook
  • google+
  • email
  • rss
সেনাবাহিনী হাতে রাখতে অর্থ দেয় সরকার-দ্যা ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদন
সিঙ্গাপুরে মসজিদে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে ভারতীয় আটক

Related Posts

  • শিক্ষা
  • Feb 12, 2021
বাংলা কবিতা: ”পিছুটান”
  • শিক্ষা
  • Feb 12, 2021
১২ নভেম্বরের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষাও পেছালো
  • শিক্ষা
  • Feb 12, 2021
ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটে প্রথম ফোকাস গাজীপুর শাখার আব্দুল্লাহ

Leave a Comment Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Categories
> শিক্ষা > বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা উদ্বেগ, কী বলছে কর্তৃপক্ষ
Calendar
March 2021
M T W T F S S
« Feb    
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  

e-mail: muktokanthonews@gmail.com

 মুক্তকণ্ঠ২৪.কম এ কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 

© 2017 All rights reserved