এরা হলেন- টেমা গ্রামের সাকিল (৩৫), মাটাই গ্রামের সাদিকুল ইসলাম (২৬), চামরুল গ্রামের নুর ইসলাম। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও যুবলীগ নেতা আবদুল হান্নানের সঙ্গে জোহালমাটাই গ্রামের জিব্রাইল হোসেনের বিরোধ ছিল। জিব্রাইল বৃহস্পতিবার ইউপি সদস্য হান্নানের কাছে ভিজিএফ এর কার্ড নিতে যায়। হান্নান তাঁকে কার্ড না দিয়ে মারধর করে এবং জিব্রাইলকে ফাঁসানোর জন্য শুক্রবার রাতে ইউপি সদস্য আবদুল হান্নান জোহালমাটাই বাজারে অবস্থিত একটি সমিতির ঘর ভাঙচুর করে। সমিতির ঘরকে ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয় বানিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের নাটক সাজায়। শনিবার সকালে আদমদীঘি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর রহমান সহ থানা পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গেলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এটি কোনো দলীয় কার্যালয় নয়। দাদন ব্যবসার জন্য সমিতির ঘর বানিয়েছন ইউপি সদস্য হান্নান। ঘরের সামনে কোনো দলীয় সাইনবোর্ড ছিল না। পুলিশের তদন্তে সাজানো নাটকের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।
ওসি রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর ও অবমাননার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। আবদুল হান্নান তালিকভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী।